‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে সম্প্রতি হয়ে গেলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে কতটুকু ফসল ঘরে তুলতে পারলো বিএনপি তা নিয়ে হিসাব কষছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কর্মসূচিতে ভারতকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মনোভাব চাঙা ও গণজমায়েতই লাভ হয়েছে বিএনপির।
Advertisement
১৭ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এ কর্মসূচিতে ১১টি স্পটে যেমন লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জের দুটি স্থান ও আদিতমারী, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর, নীলফামারীর ডিমলা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন তিস্তা পাড়ে। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু। তিনি বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দিনেই আমরা সফল হয়েছি। এই আন্দোলনে তিস্তা পাড়ের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় তা জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তিস্তা পাড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।’
তিস্তার ন্যায্য হিস্যা কেনো গুরুত্বপূর্ণতিস্তার উজানে ভারত, ভাটিতে বাংলাদেশ। ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা অববাহিকার ১১৫ কিলোমিটার ঢুকেছে বাংলাদেশে। তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী হওয়া সত্ত্বেও ভারত একতরফা বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রায় ছয় লাখ হেক্টর জমিতে সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য পানি ছাড়ে। যে পানি আশীর্বাদ না হয়ে বেশির ভাগ সময়ে এ দেশের মানুষের জন্য অভিশাপ নিয়ে আসছে। ফলে অসময়ে তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিচ্ছে, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এমন পরিস্থিতিতে নদী গবেষক ও উন্নয়ন বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তরের পাঁচ জেলার দুই কোটি মানুষের জীবনমান রক্ষায় একমাত্র সমাধান হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। নদীকেন্দ্রিক কৃষিজমি রক্ষা, ভাঙন রোধসহ চর রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো উজানের পলিতে নদীর বুক ভরাট হলে স্বল্প পানিতে প্রতিবছর অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
Advertisement
এক যুগের বেশি সময় ধরে তিস্তায় নৌকা চালানো মোহন মাঝি বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে সমাধান হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন:
তিস্তা বাঁচাতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু কাঁথা-কম্বল নিয়ে চরের বালুতে বিছানা পেতেছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় মানুষের ঢল‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘একদিকে ভারত পানি দেয় না, আরেক দিকে আমাদের যে শত্রু, তাকে দিল্লিতে রাজার হালে বসিয়ে রেখেছে। ওখান থেকে তিনি বিভিন্ন রকম হুকুম জারি করেন। কী করুণ অবস্থা তাদের (ভুক্তভোগী মানুষ)। আজকে একদিকে তারা (ভারত) পানি ছেড়ে দেয়, পানির তোড়ে ঘরবাড়ি, সম্পদ ভেসে যায়, নষ্ট হয়। আবার যখন বাঁধের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়, তখন এই এলাকার খরায় শুকিয়ে খটখট হয়ে যায়। তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ আর যায় না।’
কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যদি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে দেরি করে তাহলে নদী পাড়ের মানুষ ও কৃষিকে বাঁচাতে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে সব পথ বেছে নিতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।
Advertisement
তিস্তা ইস্যুতে এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ওয়াকার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য নজরুল ইসলাম হক্কানী। তিস্তা পাড়ে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, তিস্তা ইস্যুতে দীর্ঘদিন থেকেই গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। বিএনপির কর্মসূচির মাধ্যমে এই ইস্যুতে বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি যুক্ত হলো। তিস্তা ইস্যুর সমাধানে স্থানীয়দের সংশয় রয়েছে। এবার বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ক্ষমতায় গেলে তারা এর সমাধান করবে।
তিস্তা পাড়ে হঠাৎ কেনো বিএনপির এমন অবস্থান কর্মসূচিদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নির্বাচন ইস্যু, সংস্কার ইস্যু থাকতে বিএনপি হঠাৎ করে তিস্তা নিয়ে কর্মসূচি পালন করলো কেনো, এমন প্রশ্ন অনেকের।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলছেন, তিস্তা পাড়ের কর্মসূচি হঠাৎ করে নয়। বিএনপি জনগণের দল হিসেবে সব সময়ই জনগণের কথা বলে আসছে। তিস্তা ইস্যুতে আগে থেকেই সরব বিএনপি।
আরও পড়ুন:
তিস্তা পাড়ে মশাল হাতে লাখো মানুষ হাসিনা ক্ষমতা চেয়েছিলেন, তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চাননি: দুলু বিএনপি জনগণের সমর্থন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে: খসরুকুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তা নদীর পাড়ে দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছে প্রভুত্ব চাই না, বন্ধুত্ব চাই। এ কথা প্রমাণ করার জন্যই তিস্তা পাড়ের সমাবেশ। আমরা বন্যা ও ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করে বলতে চাই, বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, আছে-ভবিষ্যতেও থাকবে।’
তিস্তা পাড়ের কর্মসূচিতে বিএনপির লাভ কী?তিস্তা পাড়ের কর্মসূচিতে বিএনপি লাভ কী হলো, এই প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজের কাছে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান।
তবে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা পানি আগ্রাসনের শিকার। সেটা থেকে মুক্ত হবো এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিস্তার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের পক্ষে এ কর্মসূচি পালন করেছে।
এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিস্তা পাড়ে বিএনপি জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচি নিয়েছে। এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। উত্তরাঞ্চলের মানুষের তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আবেগ রয়েছে। আমি এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখি।’
বিএনপির এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী বলেন, আগে থেকেই উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধায় বিএনপির শক্ত অবস্থান। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবে তাদের নেতাকর্মীরা আরও চাঙা হয়েছে এবং ভারতকে বিএনপি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
তিস্তা এখন ধূধূ বালুচর! খরা মৌসুমে হঠাৎ বাড়ছে তিস্তার পানি, ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা হচ্ছে তৃতীয় ষড়যন্ত্র’জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি যে উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় স্বার্থের অনুকূল নিশ্চিত করতে সেটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ভারতের জাতীয় স্বার্থে এটা সহায়ক না হলেও ভারত বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারবে। ভারতের অস্বস্তি তৈরি হলেও বড় কোনো নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে না।
তিস্তা পাড়ের কর্মসূচিতে বিএনপির ক্ষতি কী?আবার ভিন্ন কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিদেশবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ কয়েকদিন আগে শিল্পোন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কোম্পানির বিনিয়োগের আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সেখানে তিস্তা পাড়ের কর্মসূচি দলের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার যে নাজুক পরিস্থিতি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে এখানে বিএনপির ব্যর্থতা রয়েছে, সেই ব্যর্থতা ঢাকতে ভারতবিরোধী জনপ্রিয় বা সস্তা ইস্যু নিয়ে হঠাৎ করে তিস্তা পাড়ে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে জনমত দলের পক্ষে নেওয়ার জন্য। অথচ আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর থেকে জনমত বিএনপির পক্ষেই রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপিই সরকার গঠন করবে।
বিএনপির এই উপদেষ্টা আরও বলেন, এই পরিবেশটা ধরে রাখাই দলের এখন মূল দায়িত্ব। এখন প্রাধান্য দেওয়া উচিত সারা দেশে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন এবং যারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। আর ভারতের সঙ্গে যে ইস্যুগুলো রয়েছে সেগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাধ্যমে সমাধান করা।
তিনি অনেকটা ক্ষোভের সুরে বলেন, দলের কিছু নেতা রাজনৈতিক স্পেস পাচ্ছিলেন না, তাদের অ্যাডভোকেসিতে কর্মসূচির বাস্তবায়ন হয়েছে এবং তারা লাইম লাইটে এসেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তা পাড়ের এই কর্মসূচি বিএনপির জন্য একটি ফাঁদ কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। চীনের উষ্ণতা পেতে এই কর্মসূচি কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিএনপি নিশ্চয়ই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ চায় না বলেই তারেক রহমান তিস্তা ইস্যুতে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জাতিসংঘ কি বিএনপির পক্ষে রাতারাতি রায় দিয়ে দেবে? নিশ্চয়ই সেটা দেবে না। সুতরাং এ কর্মসূচির মাধ্যমে একদিকে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, দলে ভারতপন্থি যারা রয়েছেন তাদের মধ্যেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলার যে অবস্থা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য ভারত যদি কোনো প্রকার চেষ্টা করে সেটা বিএনপির জন্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
তিস্তা পাড়ের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী?বিএনপি-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী এই প্রশ্নের জবাবেও কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দেশের মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে তো আর বন্ধুত্ব হয় না। আমরা ভারতের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক চাই।
এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই ইস্যুতে কেউ কেউ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি মনে করি এই কর্মসূচি ভারত-বিএনপি সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বরং ভারতের কাছে বিএনপির গুরুত্ব বাড়বে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, শুধু বিএনপির কথা বলবো না, বাংলাদেশের যে সরকার ক্ষমতায় আসুক ভারত তার স্বার্থে বাস্তবতা মেনে নেবে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। আমার মনে হয় সেটা দেখে তারা বের হয়ে আসবে।
কেএইচ/এসএনআর/এমএমএআর/এমএস