জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। একই সঙ্গে তাদের স্মৃতি অটুট রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তাদের নামে নামকরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য।
Advertisement
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর দনিয়া কলেজে আয়োজিত নবীনবরণ, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা আনতে যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে সব রকমের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে শহীদদের স্মৃতি মুছে ফেলার এক ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের আধিপত্যবাদ থেকে বের হওয়ার যে সুযোগ আমাদের ছেলে-মেয়েরা করে দিয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো বিচ্যুতি ঘটলে দেশ আবারও খাদের কিনারায় চলে যাবে।
উপাচার্য বলেন, আমরা সিলেবাস সংস্কার, ট্রেডকোর্সের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকদের কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি না করাসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। শিগগির এগুলো বাস্তবায়ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ানো হবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে নিহত ডেমরা কলেজের শিক্ষার্থী শহীদ সাকিব এবং শহীদ রোহানের পরিবারের মাঝে আড়াই লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এছাড়া শহীদ সাকিবের বড় ভাইয়ের হাতে কলেজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খণ্ডকালীন চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, দনিয়া কলেজের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহ এমরান, বিদ্যাৎসাহী সদস্য ড. শেখ মনির উদ্দিন, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, মো. আবুল কালাম আজাদ এবং দনিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জুয়েলা জেবুননেসা খান।
এএএইচ/এএমএ
Advertisement