সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতের আধারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এই পোস্টার লাগানো হয়। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে।
Advertisement
এক ছাত্রলীগ নেতাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেন, এসব করে দেশে থাকা সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের আরও বেশি বিপদে ফেলা হচ্ছে। তিনি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘রাঘব বোয়াল’ উল্লেখ করে তাদের দেওয়া কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কর্মীরা বিপদে পড়ছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এই ছাত্রলীগ নেতা আখাউড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম। পোস্টার লাগানোর বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এসব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
ওই পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে- ‘মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
Advertisement
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম লেখেন, আইনমন্ত্রীর কাছের লোক ও সুবিধাভোগীরা সেইফ জনে চলে গিয়ে কিছু সুবিধাভোগী বা কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে রাতের আধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তির দাবি জানিয়ে দেওয়ালে পোস্টার টানিয়ে এখন কি করতে চাচ্ছে বা এসব করে কি লাভ হবে? বরং কসবা-আখাউড়ার পরিবেশকে আরও উত্তাল করে দেওয়া হচ্ছে। এখনো যারা সাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক এলাকায় কোনো রকম কৃষি কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য করে পরিবার চালাচ্ছেন, তাদের বাড়িছাড়া করার ব্যবস্থা হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও লেখেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সারাদেশের রাঘব বোয়ালরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। বিশেষ করে এমপি-মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও স্বজনরা বিদেশে পালিয়ে এখন এলাকায় দলীয় কর্মসূচি পালনের নামে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের আরও বেশি বিপদে ফেলছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া বলেন, সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। কিন্তু আখাউড়া পুলিশ নির্বিকার। তারা চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায়মুক্তি পেতে চাচ্ছে। তাই স্বৈরাচারদের মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর সাহস পাচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর থানায় যোগাযোগ করেছি। উনারা জানিয়েছেন এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, কে বা কারা এই পোস্টার লাগানোর সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/এএসএম