ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় চরমপন্থি গ্রুপের গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পার হলে এখনো মামলা হয়নি।
Advertisement
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিকাল সাড়ে ৩টায় শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধ) ও জাসদ গণবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় দিকে রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের গোপন বৈঠকের সময় গুলি করে ও কুপিয়ে তিনজনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:
Advertisement
নিহত তিনজন হলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানেফ আলী (৫৬) ও তার শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রাইসুল ইসলাম (২৫)। হানিফ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তিনি একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন, পরে তিনি সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি পান।
নিহত হানিফের ছোট ভাই সাজিদুল ইসলাম ইছা বলেন, আমরা এখনো মামলা করিনি। পারিবারিকভাবে রোববার সকলে বসব। আলাপ আলোচনা করে মামলা করা হবে।
ওসি মাসুম খান জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় রামচন্দ্রপুর মাঠ দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর ‘ফাইভ মার্ডার’ মতো ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
এএইচ/এমএস