ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ‘ছাত্রলীগ কর্মীকে’ মারধরের ভিডিও করায় এক সাংবাদিকের ওপর বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ১২টায় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দৈনিক কালবেলা ও এনটিভি অনলাইনের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। এসময় নাগরিক কমিটির ব্যানারে কয়েকজন ফুল দিতে গেলে জি এম সোহেল নামে একজনকে ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ আবহিত করে তাকে মারধর শুরু করেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ সোহেলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সময়ও তাকে মারধর করা হয়। এসময় সাংবাদিক মাহমুদ ভিডিও করতে গেলে তাকে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
Advertisement
আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন এবং তার ভাতিজা কে এম মারজান ও কে এম নাসিরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা করেন। আমি কেন ভিডিও করছি—এ কথা বলেই মারধর শুরু করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে আমি শহীদ মিনারে ছিলাম আর ঘটনা ঘটেছে বাইরে। এ বিষয়ে বশিরই ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলকে দেখে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। সোহেল যে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত তার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে।
Advertisement
ওসি আরও বলেন, পুলিশ সোহেলকে হেফাজতে নেওয়ার সময় তাকে মারধর করতে থাকেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহমুদকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস