বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানিয়েছে তার স্বজনরা। বৃহস্পতিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সুজয়। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সুজয় ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার পরিবার।
আদালতের নির্দেশে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মরদেহ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু পরিবার ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে সেটি স্থগিত হয়ে যায়।
নিহতের মামা মাজেদুল হক জানান, ২২ আগস্ট তিনি আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন মরদেহ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে ঠিক তেমনি সুজয়ের বিচারও মরদেহ উত্তোলন না করে সম্ভব।
Advertisement
স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিন জানান, দাফনের সময় সুজয়ের মরদেহ অর্ধগলিত ও পোড়া ছিল। মরদেহ উত্তোলন পরিবারের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হবে বলে তারা বাধা দিয়েছেন।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঢাকা জেলার সিআইডির দল এসেছিল মরদেহ উত্তোলনে। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সেটি উত্তোলন করা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু মুছা বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু সুজয়ের বাবা ও স্বজনরা লিখিত-মৌখিক বক্তব্যকে সম্মান জানিয়ে মরদেহ উত্তোলন না করে ফিরে যাচ্ছি।
আবুল হাসনাত মো রাফি/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement