রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নাকি ইউক্রেনই শুরু করেছিল।
Advertisement
এছাড়া, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, দেশটিতে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে সরিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ হতে পারে।
আরও পড়ুন>>
সমর্থনের বিনিময়ে ইউক্রেনের অর্ধেক খনিজ সম্পদ চায় যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা আসবে না, ইউরোপকে নিজস্ব বাহিনী গঠনের প্রস্তাব জেলেনস্কির ট্রাম্প কেন সৌদি আরবে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান?গত মঙ্গলবার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে বহুদিন নির্বাচন হয়নি। সেখানে সামরিক আইন চলছে। তিনি আরও দাবি করেন, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
Advertisement
যদিও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নির্ভরযোগ্য জরিপ করা কঠিন। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা কমলেও ট্রাম্পের উল্লেখ করা মাত্রায় নামেনি।
ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা (ইউক্রেন) আলোচনার টেবিলে বসতে চায়। কিন্তু জনগণের কি কোনো মতামত নেওয়া হয়েছে? বহুদিন ধরে কোনো নির্বাচনই হয়নি।
ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে নির্বাচন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই দাবি কৌতুকপূর্ণ। কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
এদিন ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো’ এবং তাদের উচিত ছিল ‘সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো।’ বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে মস্কোর অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে রাজি হতে হতো কিংবা কোনো প্রতিরোধ না করেই রাশিয়ার হাতে আত্মসমর্পণ করতে হতো।
Advertisement
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, তার প্রশাসন ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোচ্ছে, যা পুতিনের জন্য বিজয়ের সমান হতে পারে।
সূত্র: সিএনএনকেএএ/