আইন-আদালত

নাইকো মামলায় খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পেয়েছেন: কায়সার কামাল

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা জিইয়ে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

Advertisement

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আদালত আজ খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন। আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা যে সাজানো ছিল, খালাসের রায়ে তা প্রমাণ হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাইকো মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।

এর আগে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

Advertisement

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন মামলাটিতে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রায় দেন আদালত।

আসামিরা আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হাজিরা দেন।

আরও পড়ুন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া মার্চেই হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রতিবেদন, আশা চিফ প্রসিকিউটরের

বহুল আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

Advertisement

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

খালাস পাওয়া বাকি ৭ জন হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস