জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
Advertisement
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা বেড়ে গেছে। যারা পরিবর্তনের সামর্থ্য রাখে, তারা গড়তেও পারে। ইতিবাচক দিকে এ সমাজকে চালিত করা, ঘুনে ধরা কাঠামোকে পুনর্নির্মাণ করা এবং ন্যায়ভিত্তিক সুষম সমাজ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পঞ্চম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে ইউজিসি চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যেসব সম্ভাবনা বিকশিত হতে পারেনি, সেসব সম্ভাবনা বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই। যে পথগুলো রুদ্ধ ছিল, তা অবশ্যই উন্মুক্ত করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদের প্রযুক্তি ও মানবিকতার ছোঁয়ায় দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
Advertisement
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইলিনয়স স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিসটিংগুইসড প্রফেসর ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সমাবর্তনের মাধ্যমে শুধু গ্র্যাজুয়েশন পর্বের সমাপ্তি ঘটছে না। বরং আজ থেকে জীবনের আরও একটি পর্বের সূচনা হচ্ছে। তা হলো ব্যবহারিক জীবন, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া ও নিজের অবস্থান তৈরি করার জীবন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েটকে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে, পঞ্চম সমাবর্তনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ৪ হাজার ১২৯ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ ও ১০ জন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পেয়েছেন।
এএএইচ/এমএএইচ/
Advertisement