প্রবাস

আবাসিক এলাকায় পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে

মালয়েশিয়ার মেলাকা রাজ্যের আয়ের কেরোহ এলাকার মুরনি ফ্ল্যাটের পরিবেশ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, বিদেশি শ্রমিকদের অবহেলার কারণে আবাসিক এলাকার পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ফ্ল্যাট ভবনের দেয়ালে পানের পিক লেগে থাকে, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও দৃষ্টিকটূ। এছাড়া, আশপাশের এলাকা প্লাস্টিকের আবর্জনা, পানির বোতল ও সিগারেটের বাক্সে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে।

মেলুর ফ্ল্যাট ম্যানেজমেন্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম কাসিম জানান, আবাসিক এলাকায় থাকা বিদেশি শ্রমিকরা শিশুদের খেলার মাঠ দখল করে সেখানে আড্ডা দেন, যা স্থানীয়দের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, শিশুদের খেলার জায়গায় বিদেশি শ্রমিকদের আড্ডা নিষিদ্ধ/ছবি- সংগৃহীত

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে এই খেলার মাঠ শুধু শিশুদের জন্য। কিন্তু তারা নিয়মের তোয়াক্কা করে না।’

আরও পড়ুনমালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতারমালয়েশিয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় পাসপোর্ট পেলেন ২৭ হাজার প্রবাসী

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সিনার হারিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতসহ বিভিন্ন জাতীয়তার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তারা প্রায়শই ছুটির দিনগুলোতে খেলার মাঠে জড়ো হন এবং অনেক সময় মদ্যপান ও ঝগড়ার মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন।

এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

বাচ্চাদের খেলার জায়গায় আড্ডা দিচ্ছেন বিদেশি শ্রমিকরা/ ছবি- সংগৃহীত

Advertisement

সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়, বিদেশি শ্রমিকরা খেলার মাঠ দখল করে রাখার কারণে স্থানীয় শিশুরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে আয়ের কেরোহের রাজ্যসভার সদস্য কের্ক চি ইয়ে বলেন, এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আগামী দুই মাসের মধ্যে অন্তত ১০টি ইউনিট শ্রমিকদের থেকে খালি করা হবে।

বিদেশি শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থান গঠনের সরকারি উদ্যোগকে সমর্থন করি। ফলে আবাসিক এলাকার পরিবেশ ভালো থাকবে এবং শিল্প খাতের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে না বলে জানান আয়ের কেরোহের রাজ্যসভার সদস্য কের্ক চি ইয়ে।

এমআরএম/জেআইএম