এসিআই ফুডস অ্যান্ড কমোডিটি ব্র্যান্ডসের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) ফারিয়া ইয়াসমিন বলেছেন, বর্তমান সরকার যে হারে ভ্যাট বাড়িয়েছে তাতে বিস্কুট, কেক, জুসের মতো বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে দেশের পুষ্টি নিরাপত্তায়। বিশেষ করে শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
Advertisement
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) কনফারেন্স হলে জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, ফুড সেক্টরের ওপর করের বোঝা পুষ্টিতে প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা যে বিস্কুট-জুস খাচ্ছে, সেটা তাদের অনেক বড় ক্যালরি সোর্স। করের কারণে এসব খাদ্যের দাম বাড়বে, ফলে তারা খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হবে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
কর বাড়ানোয় দেশে বেকারত্ব বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করে ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, বর্তমানে ব্যবসা করার মতো অবস্থায় নেই। ভ্যাট বাড়ার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে পণ্যের দাম বাড়বে। পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া এ করের টাকা সমন্বয়ের আরেক উপায় হলো কর্মী ছাঁটাই করা। সেটা হলে আবার দেশে বেকারত্ব বাড়বে। এমনিতেই দেশে এখন অনেক বড় বড় কারখানা বন্ধ। দেশের একটি বড় অংশ এরই মধ্যে বেকার।
Advertisement
‘খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত দেশের একটি স্পর্শকাতর খাত। এখানে স্বচ্ছতা রয়েছে। কিন্তু যেসব খাত থেকে কর আহরণ হচ্ছে না, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে রাজস্ব বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের অন্য কোনো বিকল্প ছিল কি না, তা দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকার মনে করছে, শুল্কারোপ করলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যপূরণ হবে। কিন্তু এর ফলে যে দ্বিগুণহারে আমাদের বিক্রি কমে যাবে, তাতে রাজস্ব হারাবে, সে হিসাবটা মাথায় রাখছে না। ফলে শুল্ক-কর নিয়ে বাস্তবসম্মত একটি কৌশল প্রণয়ন করা গেলে সবার জন্যই ভালো হবে।
জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের পরিচালনায় এবং চিফ রিপোর্টার ইব্রাহীম হুসাইন অভির সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আরও বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ এবং সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ উদ্দিন নাসির, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ও রাজীব চৌধুরী, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, বাপা সভাপতি এমএ হাশেম, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা, সাবেক ব্যাংকার সাইফুল হোসেন ও সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।
এনএইচ/এমএএইচ/এমএমএআর/জিকেএস
Advertisement