আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ শুরু হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

Advertisement

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি তার উপদেষ্টাদের কাছে স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা তার অন্যতম লক্ষ্য।

আরও পড়ুন>>

পাচারের শিকার যশোরের জাফর এখন ইউক্রেনের রণাঙ্গনে! কাজের নামে রাশিয়ায় পাচার/ যুদ্ধে শ্যালক নিহত, দেশে ফিরতে ভগ্নিপতির আকুতি অধিকৃত ভূমি বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো রাশিয়া

ফোনালাপের পর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের ক্ষমতা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছি এবং একে অপরের দেশে সফর করতেও রাজি হয়েছি। আমাদের দলগুলো এখনই আলোচনা শুরু করবে এবং আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বিষয়টি জানাবো।

Advertisement

ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, তার নির্বাচনী প্রচারের মূল স্লোগান ‘কমন সেন্স’ শব্দটি পুতিনও ব্যবহার করেছেন, যা উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গির মিল নির্দেশ করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, কিয়েভের জন্য ন্যাটোতে যোগদান বাস্তবসম্মত নয় এবং ট্রাম্প প্রশাসন এখন ইউরোপ ও ইউক্রেনের নিরাপত্তার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষা ও চীনের সঙ্গে যুদ্ধ প্রতিরোধের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

এছাড়া, ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তির পরিকল্পনার কথা বলেছেন, যাতে দেশটির মূল্যবান খনিজ সম্পদের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত রাখা যায়।

ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি শিগগির সৌদি আরবে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, আমাদের প্রথম বৈঠকটি সম্ভবত সৌদি আরবে হবে। আমরা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে জানি এবং এটি ভালো একটি জায়গা হবে।

তবে জেলেনস্কি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, সে বিষয়ে ট্রাম্প পরিষ্কার কোনো ইঙ্গিত দেননি। তিনি বলেন, সম্ভবত আমরা প্রথমে একটি বৈঠক করব, তারপর দ্বিতীয় বৈঠকের ব্যাপারে ভাববো।

সূত্র: সিএনএনকেএএ/