বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
Advertisement
তিনি বলেন, মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাইকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ও এসপি ইমন গ্রেফতার মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত কাশেম মারা গেছেনডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা শহরের বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে।
এসময় ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ঢাকা মহানগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি দেখা গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সবাইকে প্রাপ্য সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবা দিতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন গত জানুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/কেএসআর/জিকেএস