দেশজুড়ে

টেকনাফে তিনদিনে ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে তিনদিনে ৭ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।

Advertisement

তিনি জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে টেকনাফ সাবরাং বিওপির একটি দল শোয়ারীগোদা এলাকায় অবস্থান করে। পরে বিজিবির সদস্যদের দেখে দুজন ব্যক্তি নাফ নদীর শূন্য লাইন অতিক্রম করে শোয়ারীগোদা এলাকার বেড়িবাঁধ পার হয়ে দুটি ব্যাগ নিয়ে লেজিরপাড়া গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় বিজিবির সদস্যরা তাদের আটকের চেষ্টা করলে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ওই এলাকা তল্লাশি করে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মিয়ানমার থেকে হ্নীলা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশ করবে- এমন সংবাদে ব্যাটালিয়ন সদর ও হ্নীলা বিওপির বিশেষ দল সেখানে অবস্থান করে।

এসময় তিন ব্যক্তি নাফ নদী সাঁতরিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে জেলেপাড়া দিকে যায়। তখন তারা বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জলসীমা থেকে দ্রুত সবকিছু ফেলে আবার মিয়ানমারে চলে যায়।

Advertisement

পরে ওই স্থানে তল্লাশির সময় পানিতে ভাসতে থাকা তিনটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে নাফ নদীতে মাদক পাচারকারীদের আনাগোনা লক্ষ্য করে ব্যাটালিয়ন সদর এবং নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প থেকে পৃথক দুটি অভিযান দল অবস্থান করে।

এসময় ৪-৫ জন ব্যক্তি নৌকাযোগে নাফ নদীর সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে কেওড়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা জলাভূমি ও জঙ্গল দিয়ে রাতের আঁধারে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পরে বিজিবি সদস্যরা দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়ে কেওড়া জঙ্গল, নদীর তীর এবং তৎসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া চারটি ব্যাগ ও বস্তার ভেতর থেকে ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

জাহাঙ্গীর আলম/জেডএইচ/এএসএম