খেলাধুলা

১২ বছর পর সান্তোসের জার্সি গায়ে মাঠ মাতালেন নেইমার

ভিলা বেলমিরা স্টেডিয়াম কাণায় কাণায় পূর্ণ। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল। দর্শকদের হাতের কবজিতে, মাথায়, গায়ে নতুন রং-ঢংয়ের বন্ধনি, নানা চিত্র অংকিত পেস্টুন হাতে উৎসবমুখর তরুণদের দল। বাহারি রংয়ের বাতিতে সাজানো স্টেডিয়াম।

Advertisement

কেন এত আয়োজন ব্রাজিলিয়ানদের, কেন সান্তোসে এত উচ্ছ্বাস? উত্তরটা বেশ সহজ। রাজপুত্র ঘরে ফিরেছেন। সেই রাজপুত্রকে দেখার জন্য, তার পায়ের জাদু দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন হাজার হাজার ফুটবলভক্ত। কোন রাজপুত্রের কথা বলা হচ্ছে তাও প্রায় সবাই জানেন, নেইমার জুনিয়র। প্রায় ১২ বছর ইউরোপের দুই শীর্ষ ক্লাবে (স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই বা পিএসজি) খেলার পর এবং সৌদি আরবে (আল হিলাল) সংক্ষিপ্ত সময় কাটান নেইমার। এরপর পুনরায় নিজের দেশ ব্রাজিলে পেশাদার ফুটবল খেলায় ফিরেছেন এই তারকা।

শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে ৬ মাসের চুক্তি করেন নেইমার। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার মাঠে পুনরায় অভিষেক হয় তার। ৩৩ তম জন্মদিনে প্রিয় ক্লাব সান্তোসের জার্সি গায়ে মাঠ মাতান নেইমার। বোতাফোগো এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।

নেইমারের নামার সময় সান্তোস এগিয়ে ১-০ গোলে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল খেয়ে ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়।

Advertisement

ইউরোপ যাওয়ার আগে সান্তোসের হয়ে ৬টি শিরোপা জিতেছিলেন নেইমার। যার মধ্যে রয়েছে ২০১১ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা।

এক সময় বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচিত নেইমার ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন। পরে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ফি-তে ২০১৭ সালে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোর (সে সময়ের বাজারমূল্যে ২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার) বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দেন।

২০২৩ সালের গ্রীষ্মে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তি সই করেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের হয়ে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ খেলার কিছুদিন পর এসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

নেইমারকে ছাড়াই গত মৌসুমে সৌদি লিগ জিততে সক্ষম হয় আল হিলাল। ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে আল হিলালের চুক্তি ছিল চলতি বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে ১৫ জুন শুরু হয়ে এই টুর্নামেন্ট চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।

Advertisement

নেইমার বারবার ইনজুরিতে পড়ায় আল হিলাল বিরক্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে নেইমারেরও ঘরে ফেরার ইচ্ছে প্রবল শুরু করে। সব মিলিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তি বাতিল করে দুই পক্ষ।

এমএইচ/