ক্যাম্পাস

জাবির হলের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে ওই হলের পাশ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করেন তাকে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত প্রীতম রায়ের (২৩) গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মচারী ছিলেন। প্রীতম সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় থাকতেন।

মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী হলে ইন্টারনেট মেরামতের কাজে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে সহকর্মীরা প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী কক্ষে থাকেন না। সেজন্য রাতে তার কর্মচারীরা ইন্টারনেট মেরামতের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি লেজার মেরামতের কাজ করেছেন। এখনো দুটি লেজারের কাজ বাকি আছে। এরপরে তার আর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

প্রীতমের সঙ্গে হলে কাজ করতে আসা সহকর্মীদের একজন মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর আবার ওকে কয়েকবার ফোন দিলেও আর ফোন ধরেনি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে ফোনের রিংটোন বাজতে থাকে। তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে দেখি সে মাটিতে পড়ে আছে।

প্রীতমের মৃত্যুর বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ধারণা করছি হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়ত সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা ওই জায়গার কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।

সৈকত ইসলাম/এফএ/জেআইএম

Advertisement