এবারের গ্র্যামি পুরস্কারে সেরা নতুন শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন চ্যাপেল রোয়ান। পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চেই তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির সমালোচনায় মুখর হলেন। তিনি সংগীত শিল্পে নতুন শিল্পীদের প্রতি অবহেলা হয়, সে সম্পর্কেও নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
২০২৪ সালের সেরা নতুন শিল্পী হিসেবে রোয়ানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভিক্টোরিয়া মনেট। তিনি নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে তার সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়া সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তার ক্যারিয়ারে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি একটি নোটবুক হাতে নিয়ে উঠতি শিল্পীদের প্রতি অবিচারের বিষয়টি তুলে ধরেন।
রোয়ান বলেন, ‘যদি আমি কখনো গ্র্যামি জিতি এবং সংগীতের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলেও আমি দাবি করব, নতুনরা অবেহলার শিকার। তাদের দিয়ে যারা কোটি কোটি ডলার আয় করছে তারা শিল্পীদের জন্য একটি জীবনযাপনযোগ্য মজুরির ব্যবস্থা করছেন না। তাদের উচিত শিল্পীদের সব প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া। তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।’
তার এই বক্তব্যে শ্রোতারা উচ্ছ্বাসের সাথে তাকে সমর্থন জানান।
Advertisement
রোয়ান তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, তিনি যখন একজন কিশোরী হিসেবে একটি মিউজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন তখন তার কোনো কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না। স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাও ছিল না। প্যানডেমিকের সময়ে চাকরি খুঁজতে গিয়েও তিনি সাহায্য পাননি। ‘আমার শিল্পের প্রতি এতটাই আনুগত্য ছিল বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমি প্রতিদানে দেখেছি অবহেলা ও অনাদর। আমাকে সমর্থন করার কেউ ছিল না ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি একেবারেই হতাশ ছিলাম। গান করার স্বপ্নের প্রতি নত হয়ে পড়েছিলাম’- রোয়ান বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘লেবেলগুলো বলে যে তারা আমাদের পাশে আছে। কিন্তু আমরা দেখি আসলে তারা নতুনদের পাশে নেই। থাকে কি?’ এই প্রশ্ন দিয়ে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন। রোয়ানের এই বক্তব্যে উপস্থিত সবাই দারুণভাবে সমর্থন করেন হাততালিতে। এসময় সাবরিনা কার্পেন্টনারকে আবেগাপ্লুত দেখা যায়।
সেরা নতুন শিল্পী পুরস্কারের জন্য এবারের প্রতিযোগিতা ছিল অত্যন্ত কঠিন। বেনসন বুয়ন, সাবরিনা কার্পেন্টনার, ডোচি, খ্রুয়াংবিন, রেই, শাবুজি এবং টেডি স্ওইমস নামক প্রতিযোগীরা ছিলেন রোয়ানের সঙ্গে। পুরস্কারের আগে কিছু মনোনীত শিল্পী তাঁদের সংগীত পরিবেশন করেন।
রোয়ান তার পারফরম্যান্সে শ্রোতাদের ‘পিংক পনি ক্লাব’-এ নিয়ে যান, যা লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রতি তার ভালোবাসা প্রদর্শন করে। তিনি বলেন, ‘পিংক পনি ক্লাব’ হলো লস অ্যাঞ্জেলেসকে নিয়ে আমার প্রেমপত্র। আমি এই শহরটিকে ভালোবাসি। লস অ্যাঞ্জেলেস আমাকে নিজেকে প্রকাশ করার সাহস দিয়েছে। এখানে আমার সবচেয়ে স্বাধীন অনুভূতি হয়।’
Advertisement
এলআইএ/জেআইএম