হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দেশ। আমাদের রয়েছে এক্ষেত্রে সুমহান ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। আবহমান কাল থেকে দেশের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। এই সুমহান ঐতিহ্যকে সুসংহত করতে দেশবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। সমাজের সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্জিত জ্ঞানকে মানুষের কল্যাণ সেবায় কাজে লাগাতে হবে।
বিদ্যা ও সংগীতের দেবীর আরাধনা উৎসব শুরুর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পূজার সফলতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে দেশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Advertisement
বাণীতে তিনি বলেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে বিদ্যা ও জ্ঞানের কল্যাণময়ী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন অগণিত ভক্ত ও শিক্ষার্থী। জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জ্ঞানভিত্তিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার সকাল থেকে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলিতে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের বিশ্বাস, ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার রূপ হলেন দেবী সরস্বতী। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবীর পূজা হয়। হাতে বীণা থাকে বলে সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়। সাদা রাজহাঁস বিদ্যার দেবীর বাহন।
এমইউ/এমকেআর
Advertisement