মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের ব্যাকুলতায় ও ইসলামের মর্মবাণী সর্বত্র পৌঁছে দিতে দলে দলে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইজতেমার মোনাজাতের আগে গোটা ইজতেমাস্থল দেশ- বিদেশের মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান ও রাসুল (স.) প্রদর্শিত তরিকা অনুযায়ী জীবন গড়ার আহ্বান জানিয়ে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জিকির আসকার, ইবাদত বন্দেগি আর পবিত্র কোরআনের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার শেষ দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ।
Advertisement
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ।
ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপার্শ্বে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ এ তাৎপর্যপূর্ণ মোনাজাতে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ইজতেমার আয়োজকরা ধারণা করছেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়েতি বয়ান।
ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল ছুটেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে যাচ্ছেন। শনিবার রাত ১২টা থেকে যানবাহন চালাচল বন্ধ থাকায় রোববার ভোর চারটা থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। অনেক মুসল্লি হেঁটে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন তার জন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এএসএম
Advertisement