শরিফুল-খালেদের আগুনে বোলিংয়ে বিশাল জয় চিটাগংয়ের

লক্ষ্য ছিল ১৯৭ রানের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা ধারেকাছেও যেতে পারলেন না। পারবেন কীভাবে? শরিফুল ইসলাম আর খালেদ আহমেদ যে বল হাতে আগুন ঝরালেন। তাতেই পুড়ে ছাই সিলেট।

আগেই বিদায় হয়ে যাওয়া সিলেটকে ৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেরা দুইয়ের লড়াইয়ে টিকে রইলো চিটাগং কিংস। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৪। দুইয়ে থাকা রংপুর ১২ ম্যাচ শেষ করে পয়েন্ট ১৬।

চিটাগংয়ের রানরেট রংপুরের চেয়ে ভালো। ফলে শেষ ম্যাচে তারা ফরচুন বরিশালকে হারাতে পারলে সেরা দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করতে পারবে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ সিলেটের কোনো ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। কেউ ছুঁতে পারেননি বিশের ঘর। জাকির হাসান ১৯, রনি তালুকদার ও জাকের আলি ১৭, নাহিদুল ইসলাম ১৪ আর আরিফুল হক করেন ১১ রান।

শরিফুল ইসলাম মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে নেন ৪টি উইকেট। ৩১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদ।

এর আগে ১৩৬ রানে চিটাগং কিংসের চলে গিয়েছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে চিটাগংকে দুইশ ছুঁইছুঁই পুঁজি গড়েন দেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী আর খালেদ হোসেন। শামীম-খালেদের ঝোড়ো জুটিতে ভর করেই ৮ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে চিটাগং।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তানজিম হাসান সাকিবের তোপের মুখে পড়ে চিটাগং কিংস। পারভেজ হোসেন ইমন আর গ্রাহাম ক্লার্ক ১ রান করে ফেরেন সাকিবের বলে। ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় চিটাগং।

সেখান থেকে খাজা নাফে আর মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত জুটি। ২৭ বলে ফিফটি করেন নাফে। দশম ওভারেই একশ পার করে চিটাগং।

অবশেষে সামিউল্লাহ সিনওয়ারির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন নাফে। ভাঙে ৫১ বলে ৯৪ রানের জুটি। পাকিস্তানি এই ব্যাটার ৩০ বলে ১ চার আর ৫ ছক্কায় করেন ৫২।

রুয়েল মিয়ার নো বলে জীবন পাওয়া মিঠুন ৩৫ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। চিটাগং অধিনায়ক হন তানজিম সাকিবের তৃতীয় শিকার। ৩৮ বলে ৫২ রানের ইনিংসটিতে ছিল ২ চার আর ৩ ছক্কার মার। মাঝে ৭ বলে ৯ করে আউট হন হায়দার আলি।

১৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে গিয়েছিল চিটাগং। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী আর খালেদ আহমেদ।

সপ্তম উইকেটে শামীম-খালেদ ৩০ বলে গড়েন ৬১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। শামীম ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ১৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন খালেদ।

তানজিম হাসান সাকিব ৩৭ রানে ৩টি আর রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ সিনওয়ারি নেন ২টি করে উইকেট।

এমএমআর/জেআইএম