টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি; রানের নহর বয়ে যাওয়া। সেটাই দর্শক বিনোদনের মূল খোরাক। এবার সেই কাজগুলো ভালোমতই হচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকটি খেলা ছাড়া প্রতি ম্যাচেই ছক্কা বৃষ্টি হচ্ছে। গড়পড়তা স্কোরলাইনও বেশ বড় হয়েছে।
Advertisement
কিন্তু মাঠের বাইরে ঘটনায় রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ এবারের বিপিএল। সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হলো, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে নানা জটিলতা, টালবাহানা।
দুর্বার রাজশাহীর পেমেন্ট নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হচ্ছে। ৩ কিস্তিতে (শুরুর আগে ২৫ শতাংশ, বিপিএল চলাকালীন ৫০ শতাংশ ও খেলা শেষে বাকি ২৫ শতাংশ) পেমেন্ট করার নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে। কিন্তু রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি বা মালিকপক্ষ প্রথম ২৫ শতাংশ দিতেই নানা টালবাহানা করছে।
পেমেন্ট না পেয়ে ক্রিকেটাররা দিশেহারা। মাঠে খেলে দলকে ৬টি জয় উপহার দেওয়ার পরও পাওনা মিলছে না। পাওনা পাওয়ার গ্যারান্টিও নেই। এরকম অবস্থায় রাজশাহীর ক্রিকেটাররা নানা প্রতীকী প্রতিবাদও করেছেন। শুধু পারিশ্রমিকের দাবিতে রাস্তায় নামা ছাড়া সম্ভাব্য সবই করেছেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা।
Advertisement
প্র্যাকটিস থেকে বিরত থাকা, হোটেলে থেকেও বিদেশিদের মাঠে না আসা এবং বারবার চেক বাউন্স করার মতো ঘটনা; সবই হয়েছে। সব মিলে একটা গোলমেলে পরিস্থিতি বিপিএলে।
ক্রিকেটারদের এমন পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও (এনএসসি)। এর কারণ খুঁজতে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে এনএসসি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনএসসি থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিপিএলের পারিশ্রমিক নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। বিপিএলের পারিশ্রমিক পরিশোধে কিছু সমস্যা হয়েছে, হচ্ছে। অন্তত দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে সেই দলের ক্রিকেটারদের অভিযোগ আছে।
ক্রিকেটারদের দাবি, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের পাওনা বুঝে পাননি। ক্রিকেটারদের এ পারিশ্রমিক না পাওয়ার ঘটনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
Advertisement
তাই এনএসসি জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খুঁটিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের এক সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেই কমিটিতে আছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও সহকারি পরিচালক (ক্রীড়া)। এ সত্যানুসন্ধানী কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম