শোবিজে এখনো স্থিরতা আসেনি। সামনেই ঈদ। সে অনুযায়ী নেই শুটিংয়ের ব্যস্ততা। এরই মধ্যে কয়েকজন তারকা নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা-সমালোচনায় মজেছেন।
Advertisement
সর্বশেষ ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি ও অপু বিশ্বাস শোরুম উদ্বোধনের দিন তারিখ চূড়ান্ত করেও সেগুলোতে অংশ নিতে পারেননি। এর আগে একই ঘটনা ঘটেছে ছোটপর্দার অভিনেত্রী মেহজাবীনের সঙ্গেও।
বিষয়গুলো নিয়ে যখন অনেকেই তাদের মত প্রকাশ করছেন তখন জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকও মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি এক পোস্ট দিয়ে তিনি তার হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিল্পীদের বাধাগ্রস্ত হওয়া প্রসঙ্গে। এটি ভাইরাল হয়েছে।
রুকাইয়া জাহান চমক ছবি: ফেসবুক থেকে
Advertisement
ফেসবুক স্ট্যাটাসে চমক লিখেছেন, ‘আমি বুঝলাম না, সবকিছুই তো চলছে দেশে, তাহলে শুধু শিল্পীরা কাজ করতে গেলেই তাদের প্রবলেম হচ্ছে কেন?’
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘এই যে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের নিয়ে এত মাথাব্যথা, তাদের বাদ দিয়ে একটা দেশের বুদ্ধি, মনন, নিজস্বতা, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি, গঠনমূলক শৈল্পিক ইতিহাস সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা ও উচ্চতা এবং জাতিগতভাবে আমাদের শিকড় সংরক্ষণ এগুলো কি আদৌও সম্ভব?’
আরও পড়ুন: ভক্তদের সুসংবাদ দিলেন চমক নতুন ওয়েব সিরিজে চমকএরপর চমক উল্লেখ করেন, ‘এই শিল্পীদের মধ্যেই কয়েকজন, যারা জীবনের ভয় না করে কয়েকদিন আগেই রাজপথে নেমেছিল দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের আমরা নিমিষেই ভুলে যাই। অথচ তাদের কণ্ঠস্বর ছিল নির্ভীক, তাদেকে সহজেই জামায়াত-শিবির ট্যাগ দিয়ে চুপ করানো যায়নি। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল তাদের লাখো-কোটি ভক্ত অনুসারী। যারা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশকে ভালোবেসে, তাদের এভাবে বাধা দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছেন আপনারা?’
চমকের প্রশ্ন, ‘আপনারা আসলে কারা? আপনাদের আসল উদ্দেশ্যে কি? এই দেশ আমাদের সবার, এই দেশের মাটিতে সব পেশা, জাত ও ধর্মের সবার সমান অধিকার। এই দেশকে আমরা ভালোবাসি, নিজের জীবনের থেকেও বেশি। আপনি বা আপনারা কেউ কারও স্বাভাবিক জীবনধারায় অহেতুক বাগড়া দিতে এলে, আমরা ধরে নেব- আপনারা আর যাই হোক এই দেশকে, এই দেশের মানুষকে ভালোবাসেন না!
Advertisement
রুকাইয়া জাহান চমক ছবি: ফেসবুক থেকে
সবশেষ এই অভিনেত্রী স্মরণ করিয়ে দিলেন, ভুলে যাইয়েন না জুলাইয়ের স্লোগান, ‘দেশটা কারোর বাপের না’।
এমআই/এলআইএ/এমএমএফ/এএসএম