আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে গুলেইন বারি সিনড্রোমে শিশুর মৃত্যু

পশ্চিমবঙ্গে গুলেইন বারি সিনড্রোমে (বিরল স্নায়ুরোগ) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের এক বালকের। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের ভাটপাড়া পৌরসভার অন্তর্গত আতপুরে। মৃত বালকের নাম দেব কুমার সাউ।

Advertisement

জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয় দেবকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। গত ২৬ জানুয়ারি মৃত্যু হয় শিশু দেবের। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সনদে গুলেইন বারি সিনড্রোম (জিবিএস)-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

দেবের বাবা রাজেশ সাউ জানিয়েছেন, গত ১৫ তারিখে গলা ব্যথা করছে জানিয়েছিল দেব। বিকেলে খাওয়ার পর পানি পান করে। সেই পানি নাক দিয়ে বেরিয়ে আসে। ১৬ তারিখে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো বেলেঘাটা শিশু হাসপাতালে। সেখানেই গত ২৬ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এইচএমপিভি এবার কলকাতায়

ভাটপাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দুইজনের চিকিৎসকের টিম পাঠানো হয় মৃত বালকের বাড়িতে। ভাটপাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পি কে শর্মা বলেন, যে বাড়িতে শিশুটি থাকতো, তার আশপাশে প্রায় ১০০ বাড়ি আমরা সার্ভে করছি। এছাড়া, যে স্কুলে পড়াশোনা করতো সেই স্কুলেও গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের পৌরসভার চিকিৎসক ও আশা কর্মীরা সবাই সতর্ক রয়েছেন। কারও সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

চিকিৎসক আশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, হঠাৎ শুনলাম এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখতে এসেছি। দেখা গেলো, বাচ্চাটি পানি পান করতে পারছে না। সেই পানি নাক দিয়ে বেরিয়ে আসছে। তার পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিটি স্ক্যান করার পর গত ২৬ জানুয়ারি শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়‌। পরে আমরা দেখতে পেলাম, গুলেন বারি সিনড্রোমেই অসুস্থ হয়েছিল বাচ্চাটি। সে ঠিকভাবে খেতে পারছিল না, প্যারালাইসিস হয়েছিল, কার্ডিয়াক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

চিকিৎসক আরও জানিয়েছে, এই সিনড্রোম নার্ভগুলোকে ড্যামেজ করে দেয়, যেটা ওর ক্ষেত্রে হয়েছে। এ ধরনের কিছু ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। মানুষকে বলবো, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

Advertisement

ডিডি/কেএএ/