পঞ্চগড়ে আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। শনিবার সকাল ৮টার দিকে সূর্য উঁকি দিলেও ছিল নিরুত্তাপ।
Advertisement
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমেছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামলে ওই এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে দু’দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে।
মাঘের এই তীব্র শীতের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। রিকশা-ভ্যানের চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের বেশি দুর্ভোগ দেখা গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা।
Advertisement
উপজেলা সদরের মাগুড়া ইন্টারনেট মালাদাম এলাকার কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন, দুইদিন ধরেই খুব কুয়াশা আর বাতাস। এই বাতাসের জন্য খুব ঠান্ডা লাগছে। সকালে জমিতে নেমেছি। কিন্তু হাত দিয়ে কোনো কাজ করা যায় না। এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। গত দুইদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আমাদের সকালেই সবজি ক্ষেত থেকে শাক সবজি বাজারে তুলতে হয়। কুয়াশার কারণে ১০ হাত দূরের কিছুও দেখা যায় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। শুক্রবার বিকেল ৩টায় দিনের তাপমাত্রাও কমে ১৬ ডিগ্রিতে নামে। এছাড়া মেঘলা আকাশে হালকা কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এমন আবহাওয়া আরও ২/৩ দিন থাকতে পারে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ কমতে পারে।
সফিকুল আলম/এফএ/এমএস
Advertisement