পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
Advertisement
তিনি বলেন, দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে কুকুরের সংখ্যা গণনা ও সচেতনতা জরিপ: অলিভ রিডলি কচ্ছপ সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। এতে অভয়ারণ্য নামক প্রাণী কল্যাণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমদ ও তার টিম ‘সেন্টমার্টিনের কুকুর: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধসেন্টমার্টিনে রাতে থাকা যাবে নামূল প্রবন্ধে রুবাইয়া আহমদ জানান, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে কুকুর ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (ডগ পপুলেশন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম) বাস্তবায়ন শুরু হবে। প্রথম ধাপে খাদ্য বিতরণ নিয়ন্ত্রণ, নতুন পোষা প্রাণী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং গৃহপালিত প্রাণীদের বন্ধ্যাকরণ নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে। পরে শিশুদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
পরবর্তী ধাপগুলোতে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ স্ত্রী কুকুরের বন্ধ্যাকরণ, বর্ষাকালে নিবন্ধিত খাদ্য বিতরণ এবং নভেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশ স্ত্রী কুকুরের বন্ধ্যাকরণ নিশ্চিত করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে সব স্ত্রী কুকুরের বন্ধ্যাকরণ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ স্ত্রী কুকুরের বন্ধ্যাকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ উদ্যোগগুলো সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং অলিভ রিডলি কচ্ছপের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
আরএএস/এমকেআর/জেআইএম