সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন ডি’র বিকল্প নেই। ভিটামিন ডি হলো এমন এক ভিটামিন, যার উপর মানুষের শরীর ও মন দুয়েরই ভালো থাকা নির্ভর করে। একদিকে ভিটামিন ডি হাড়-পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে, আবার মন-মেজাজও ভালো রাখে। এটি এমন একটি ওষুধ, যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
Advertisement
ভিটামিন ডি’র অভাব হলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়। তাতে নানা ধরনের অসুখের প্রকোপও বাড়তে শুরু করে। কাজ করার ইচ্ছেও যায় চলে। ভালো থাকার জন্য তাই শরীরে ভিটামিন ডি’র ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
তবে কর্মব্যস্ত জীবনের অনেকটাই এখন সবার কাটে কর্মস্থানে। তাদের রোদ পোহানোর সময় নেই। সাপ্লিমেন্ট দিয়ে সেই অভাব পূরণ করে যায় ঠিকই, তবে খাবারের মাধ্যমেও পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।
সাধারণত দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, মাখন, তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন ডি থাকে। কিছু শাকসবজিও আছে, যা অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
Advertisement
করলা
করলা ভাজা থেকে শুরু করে করলার রস, সবই খাওয়ার চল আছে। যারা খান, তাদের শরীরে অন্যান্য খাবারের থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়বে।
পালং শাক
পালং শাকের গুণের কমতি নেই। খেতেও ভাল। শীতের বাজারে পাওয়াও যায় অনেক বেশি। পালং শাকে থাকা নানা পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
Advertisement
লাউ
লাউ দিয়ে চিংড়ির ঘণ্ট রান্না হয়। আবার রোগা হতে চান যারা, তাদের অনেকে সাত সকালে লাউয়ের রস খান। শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব মেটাতেও লাউ খেতে পারেন।
মিষ্টি আলু
আলুর সঙ্গে যখন বাংলার পরিচয় হয়নি, তখন এই মিষ্টি আলুই ছিল বাঙালির ভরসা। পুষ্টিকর ও ফাইবারে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে।
কুমড়া
কুমড়া খেতে পছন্দ করেন ছোট-বড় সবাই। নিয়মিত এই সবজি পাতে রাখলে কিছুটা হলেও শরীরে মিলবে ভিটামিন ডি।
ডাঁটা
ঝোল হোক বা চচ্চড়ি, ডাঁটা সবকিছুতেই মানিয়ে যায়। ডাঁটাতেও কিন্তু আছে অতি সামান্য ভিটামিন ডি।
মাশরুম
কিছু কিছু মাশরুম আছে, যা রোদে বাড়ে, তাতে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে তৈরি হয় ভিটামিন ডি। তবে ছায়ায় বাড়লে, মাশরুমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।
জেএমএস/জিকেএস