দেশজুড়ে

সাফারি পার্কের দেওয়াল টপকে পালিয়েছে ‘নীলগাই’

 

গাজীপুরের সাফারি পার্কের দেওয়াল টপকে একটি নীলগাই লোকালয়ে চলে গেছে। প্রাণীটিকে পার্কে ফিরিয়ে আনতে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলাজুড়ে অভিযান চালাচ্ছেন বন বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয়দের সতর্কতায় ও নীলগাইকে যেন কেউ ক্ষতি না করেন, সেজন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাফারি পার্ক গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম নীলগাই পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এখন নীলগাইয়ের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ প্রজনন মৌসুমে এক পুরুষ নীলগাই অপর গাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পার্কের পুরোনো দেওয়াল টপকে একটি পুরুষ নীলগাই লোকালয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণীটিকে পার্কে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে নীলগাইটির সন্ধানে গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের ভালুকার সিডস্টোর, বাটাজোর ও টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্থানীয়দের সতর্ক করতে এবং কেউ যাতে নীলগাইয়ের ক্ষতি না করেন, সেজন্য সব এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

Advertisement

‌‌‘শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহের বাটাজোর বাজার এলাকায়, বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানার কালমেঘা এলাকায় নীলগাইটি দেখা যায়। পরে রাতে খোঁজ করে প্রাণীটির সন্ধান মেলেনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) পার্কের পাশে শ্রীপুর উপজেলার জয়নাতলী এলাকায় খোঁজ পাওয়া যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে ধরার জন্য বেড় তৈরি করার সময় কুকুর ধাওয়া দিলে নীলগাইটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফের নীলগাইটির সন্ধান মেলে। আজ প্রাণীটির কোনো খোঁজ পাইনি’, যোগ করেন সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম।

২০২১ সালে এই পার্ক থেকেই আরেকটি নীলগাই পালিয়ে যায়। দুই মাস পর টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে লোকালয়ে যাওয়া নীলগাইটিকে উদ্ধার করে পার্কে আনা হয়েছিল।

পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাফারি পার্কে সবশেষ ১১টি নীলগাই ছিল। নীলগাইটি পালিয়ে যাওয়ার পর এখন সেখানে রয়েছে ১০টি।

২০১৯ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ হওয়া চারটি নীলগাইকে সাফারি পার্কে আনা হয়। সেখানেই তারা নতুন বাচ্চার জন্ম দিয়ে দলের সংখ্যা বাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সাফারি পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা নীলগাই দেখতে পেয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেন।

Advertisement

আমিনুল ইসলাম/এসআর