খেলাধুলা

‘বিফল’ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিপিএলের নতুন ইতিহাস লিখলেন বিজয়

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে গতকাল রোববারের ম্যাচটি জিততে শেষ ওভারে দুর্বার রাজশাহীর দরকার ছিল ১৭ রান। কিন্তু সমীকরণ মেলাতে পারেনি রাজশাহী। ২০তম ওভারে খুলনার পেসার হাসান মাহমুদের কাছ থেকে তারা বের করতে পারে মাত্র ৯ রান। ফলে এনামুল হক বিজয়ের রাজশাহী হারে ৭ রানে।

Advertisement

সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে শেষ ওভারে বিজয়ের দরকার ছিল ৯ রান। তিনি সেই রান করতে পেরেছেন। তবে দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেছে ডানহাতি ব্যাটারের।

৫৭ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০০ রান করেন বিজয়। দলের জন্য এই সেঞ্চুরি কাজে না লাগলেও বিপিএলের নতুন ইতিহাস ঠিকই লিখে ফেলেছেন তিনি। চলতি বিপিএলে সবমিলিয়ে এটি টুর্নামেন্টের সপ্তম সেঞ্চুরি। এর আগে দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের এক আসরে এত বেশি সেঞ্চুরি হয়নি।

বিজয়ের আগে চলতি বিপিএলে সেঞ্চুরি করেছেন আরও ৬ জন।

Advertisement

তারা হলেন- চিটাগং কিংসের উসমান খান (রাজশাহীর বিপক্ষে ১২৩), ঢাকা ক্যাপিটালসের থিসারা পেরারা (খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১০৩*), রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস (সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১১৩*), একই ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকার লিটন দাস (১২৫*) ও তানজিদ হাসান তামিম (১০৮) ও চিটাগংয়ের গ্রাহাম ক্লার্ক (খুলনার বিপক্ষে ১০১)।

এর আগে ২০১৯ সালের আসরে ৬টি সেঞ্চুরি হয়েছিল। এতদিন এটিই ছিল এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড।

ওই আসরে সেঞ্চুরি করেছিলেন- রাজশাহী কিংসের লাউরি ইভানস (১০৪*), রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস (১০০), রংপুরের রাইলি রুশো (১০০*), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এভিন লুইস (১০৯*), রংপুরের এবিডি ভিলিয়ার্স (১০০*) ও কুমিল্লার তামিম ইকবাল (১৪১*)।

২০২৩, ২০২২ ও উদ্বোধনী আসর ২০১২ সালে সেঞ্চুরি হয়েছিল ৪টি করে। আর ২০২৪, ২০১৯-২০, ২০১৭ ও ২০১৩ সালে তিনবার ব্যক্তিগত ইনিংস তিন অংক ছুঁয়েছিল।

Advertisement

এমএইচ/জিকেএস