শীতের অলসতা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে ওজন বাড়ার সঙ্গেই আপনার মেজাজও নষ্ট হতে পারে। সঙ্গে বাড়িয়ে তুলতে পারে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যাও। চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে মেজাজের পরিবর্তন ও ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা।
Advertisement
কম সূর্যালোক ও ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের শরীর ও মনকে প্রভাবিত করে। তবে কিছু খাবার আছে, যার সাহায্যে শীতকালেও আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলো সম্পর্কে-
শীতকালে মেজাজ পরিবর্তন হয় কেন? ভিটামিন ডি’র ঘাটতিতেভিটামিন ডি’র অভাব সূর্যের আলো ভিটামিন ডি সরবরাহ করে একথা আমরা সবাই জানি। ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য অপরিহার্য ও মেজাজ উন্নত করতেও সাহায্য করে। শীতকালে কম সূর্যালোকের কারণে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মেলাটোনিন বেড়ে যাওয়ামেলাটোনিনের মাত্রা শীতকালে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। যা আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এই হরমোন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত মেলাটোনিন তন্দ্রা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে মেজাজ খারাপ হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন
শীতে মাছ বেশি খাবেন কেন? দাঁত-মাড়ির যত্নে ব্রাশ করাই কি যথেষ্ট? সেরোটোনিন কমে যাওয়াসেরোটোনিনের অভাব শীতকালে কম রোদের কারণে আমাদের শরীরে সেরোটোনিন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। সেরোটোনিনকে সুখের হরমোনও বলা হয় ও এর নিম্ন স্তর মেজাজের পরিবর্তন, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
মেজাজ উন্নত করতে কী খাবেন?১. পালং শাক, মেথি ও অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন ও খনিজ থাকে, যা মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
২. কলায় ভিটামিন বি৬ থাকে, যা সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
Advertisement
৩. দইতে প্রোবায়োটিক থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ও মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ও মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল থাকে, যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় ও সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়।
৭. বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে বসলে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে ও আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। সঙ্গে নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে ও মেজাজ উন্নত হবে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস