আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে বৈঠকে বসছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

Advertisement

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারী দল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের আগে শুক্রবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বৈঠক হবে।

মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক শুক্রবার বা শনিবার হবে কি না তা স্পষ্ট করে বিবৃতিতে বলা হয়নি। আর রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না, তাও জানা যায়নি। তবে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, রোববারই এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু জানান, ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, সম্পূর্ণ করা হয়নি, এমন একটি অংশ যুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, হামাস শেষ মুহূর্তে কিছু ছাড় জোর করে আদায়ের চেষ্টা করছে। তাই হামাস সব শর্তে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে না।

Advertisement

এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় (১৫ জানুয়ারি) কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেন।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাস পর হওয়া এই যুদ্ধবিরতিতে মূল মধ্যস্থতাকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধানীতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ জনেরও বেশি নিহত হন। সেই সঙ্গে ইসরায়েল থেকে ২৪১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন।

হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি।

Advertisement

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ