রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
Advertisement
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানান মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত হবে। আর, রাজপথে কারো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর চলতে দেয়া হবে না।’
বুধবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক সাংবাদিক ও পাহাড়ি শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
আহতরা হলেন- রূপায়া (২৪), ইসাবা (২৫), রেংইয়ংরূ (২৭), ধন জেত্রা (৩২), সৈয়দ আওলাদ (৪৫), জুয়েল মারার্ক (৩৮), (১৮), শৈলী (২৫), মিশাল (২৪), আরতি (২৬), টনি (২৮), শান্তিময় চাকমা (২৭) ও ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক মারিয়া নওমি।
জানা গেছে, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএ/এএসএম
Advertisement