ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অসংখ্য শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানোর ঘটনা ঘটে। তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পাবেন। তারা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কোনো কাজে জড়িত সেই প্রমাণ না পেলে তাদের চাকরিতে ফেরানো হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে পাঠিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
Advertisement
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তা বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি পত্র বা আদেশ জারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি সকল জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে গত ১৭ ডিসেম্বর উল্লিখিত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে জুম লিংকের মাধ্যমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে উল্লিখিত (পদত্যাকে বাধ্য করা শিক্ষকদের) বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগের ক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় যথাযথ নির্দেশনা জারি করবে। তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।
এ সিদ্ধান্তের আলোকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এএএইচ/এমআরএম/এএসএম