জাতীয়

দোষী না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা যাবে না

আটক কিংবা গ্রেফতার কাউকে বিচারপ্রক্রিয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলে সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

Advertisement

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন।

প্রতিবেদনে আটক/গ্রেফতার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তি বা রিমান্ডে নেওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি থানায় স্বচ্ছ কাচের ঘোরাটোপ দেওয়া একটি আলাদা কক্ষ করা যেতে পারে। পুলিশের তত্ত্বাবধানে থানা হেফাজত ও কোর্ট হেফাজতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বন্দিদের কোর্ট থেকে আনা-নেওয়ার সময় ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোতে মানবিক সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।

নারী আসামিকে যথেষ্ট শালীনতার সঙ্গে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া তল্লাশির সময় পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে অথবা সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকলে জরুরি যোগাযোগের জন্য নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে একটি জরুরি কল সার্ভিস চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

অভিযানের বিষয়ে বলা হয়েছে, অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের কাছে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ও ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসহ ভেস্ট/পোশাক পরিধান করতে হবে। রাতের বেলায় বাসাবাড়ি তল্লাশির ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সুপারিশমালায় আরও বলা হয়েছে, থানায় মামলা রুজু তথা এফআইআর গ্রহণ ও তদন্ত কঠোরভাবে সার্কেল অফিসার বা পুলিশ সুপার কর্তৃক নিয়মিত তদারকি জারি রাখতে হবে। কেস ডায়েরি আদালতে দাখিল করে আদালতের আদেশ ছাড়া কোনোক্রমেই এফআইআরবহির্ভূত আসামি গ্রেফতার করা যাবে না।

ভুয়া/গায়েবি মামলায় অনিবাসী/মৃত/নিরপরাধ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য করার কথা বলা হয়েছে।

অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা দেওয়ার অপচর্চা পরিহার করতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাউকে এ ধরনের মামলায় হয়রানি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisement

টিটি/বিএ/জিকেএস