গাইবান্ধা সদরে বয়স কমিয়ে স্কুলে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। জেলার সদর উপজেলার বাদিয়াখালী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত নারীর নাম মমতাজ বেগম।
Advertisement
জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র অনুযায়ী মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারি। অন্যদিকে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বড় মেয়ের জন্ম ১৯৭৮ সালের ২২ মার্চ। সে হিসেবে মা-মেয়ের বয়সের পার্থক্য ১ বছর!
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ মে বাদিয়াখালী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করেন মমতাজ বেগম। সেসময় থেকে এ পর্যন্ত তিনি সরকারি বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মমতাজ বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রিফাইতপুর গ্রামের ভোটার। সেখানেও তার জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৭৭ উল্লেখ করা রয়েছে। অন্যদিকে তার বড় মেয়ে এসমোতারা জাহানের জন্মতারিখ ২২ মার্চ ১৯৭৮। ছেলে গোলাম রহমান সুমনের জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৮০। তারা দুজনই ওই ওয়ার্ডের ভোটার।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমি আর আমার মেয়ে একসঙ্গে মেট্রিক পরীক্ষা দিছি। সেসময় সার্টিফিকেটের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশনের সময় আমার জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৭৭ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগেও অনেকে অভিযোগ দিছে। তবে বয়স নিয়ে আমার কোনো সমস্যা হয় নাই।’
বাদিয়াখালী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল মিয়া বলেন, মা-মেয়ের বয়সের পার্থক্য আমার জানা ছিল না। তবে মমতাজ বেগমের নিয়োগের সময় সব বিধি মেনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচশামীম/এসআর/এমএস
Advertisement