চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসণে সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
Advertisement
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনো একক সংস্থা সমাধান করতে পারবে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), ওয়াসা এবং অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ম্যানেজার রেন হাও এবং ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন।
চসিক মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএর উদ্যোগে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে ৫৭টি খাল থেকে কাজের জন্য ৩৬টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো ২১টি খাল অবহেলিত রয়ে গেছে। এই ২১টি খালও উদ্ধার করতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে সহযোগিতা করতে পারে। পাশাপাশি, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক খালগুলো পুনরায় খনন ও পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। খালগুলোতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা এবং পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা কার্যকর রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা বহুদিনের। তবে এটি সমাধানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রযুক্তিগত ও কাঠামোগত সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এই সমস্যা সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
সভায় মেয়র নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ও কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
Advertisement
এমডিআইএইচ/কেএসআর