সাড়ে ৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথর (শিবলিঙ্গ) প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের প্রদর্শনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। পাথরটি উচ্চতায় ১০ ইঞ্চি ও ৪ দশমিক ৪৮৬ গ্রাম।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন কষ্টিপাথরটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক দপ্তরের গবেষণা সহকারী ওমর ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেন।

গত ৯ জানুয়ারি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট আঞ্চলিক দপ্তরের পরিচালক একেএম সাইফুর রহমানের আদেশে গবেষণা সহকারী ফারুক আদালত থেকে কষ্টিপাথরটি গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল রাতে রামগঞ্জ থানার একাধিক মামলার আসামি সুমন মজুমদারকে গ্রেফতার করতে হরিসভা ব্রিজ এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে বাড়িতে না পেয়ে ফেরার পথে নতুন মাটি খোঁড়া ও একটি বস্তার অংশবিশেষ দেখা যায়। পরে বোমা অথবা মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে সন্দেহে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়লে চটের বস্তার ভেতর কষ্টিপাথরটি পাওয়া যায়। পাথরটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

রামগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ইব্রাহিম মজুমদার, সুমন মজুমদার ও আব্দুস ছাত্তারের নামে মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ২১ মে সিনিয়র দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন মামলার রায় দেন। এতে আসামিদের প্রত্যেককে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাদের আরও ১০ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া কষ্টিপাথরের পুরাকীর্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে পাথরটি হস্তান্তরের করতে লক্ষ্মীপুর আদালতের মালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।

কাজল কায়েস/আরএইচ/এমএস