রাজধানীর কলাবাগানে গরুবোঝাই পিকআপে ডাকাতির ঘটনায় মো. রিয়াজ গোলদার (২৫) নামের ওই দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত পিকআপ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি জানান, মো. মেহেদী হাসান (৩৫), মো. আহমেদ শাহ ওরফে রাজা (৩৫), কাজী আনোয়ার হোসেন (৫৭) ও মো. আব্দুল লতিফ প্রত্যেকে গরু ব্যবসায়ী ও মাংস বিক্রেতা। তারা বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে গাবতলী গরুর হাট থেকে ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা দিয়ে ১১টি গরু কেনেন। পরে গরুগুলো তাদের পূর্ব পরিচিত রাখাল সর্দার জাকিরের কাছে দিয়ে আসেন। জাকির ওইদিন রাত ২টার দিকে হাট থেকে পিকআপযোগে রাখাল ইব্রাহিমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছে গরুগুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ইব্রাহিম রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদের এক ব্যবসায়ীর কাছে দুটি গরু দেন। এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে কলাবাগান থানার মিরপুর রোডে আরেক ব্যবসায়ীর তিনটি গরু নামানোর প্রস্তুতি নিলে পেছন থেকে একটি পিকআপ সামনে এসে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পিকআপটি থামায়। থামানোর পর ওই পিকআপ থেকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল চাপাতি, রামদাসহ নেমে ড্রাইভার ও রাখাল ইব্রাহিমকে মেরে ফেলার ভয় দেখালে তারা ভয়ে গাড়ির চাবি রেখে রাস্তার পাশের গলির ভেতরে চলে যায়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, গলিতে গিয়ে তারা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় গরু বহনকারী গাড়িটি নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী মো. মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলার রুজু করেন।
Advertisement
মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য রিয়াজ গোলদারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শাহ আলী থানা এলাকা থেকে লুণ্ঠিত পিকআপসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
টিটি/এমআইএইচএস/এমএস
Advertisement