সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের (খসড়া) বিতর্কিত ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ভয়েস ফর রিফর্ম এবং ডিএসএ ভিকটিমস নেটওয়ার্ক।
Advertisement
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। এ সময় বক্তারা খসড়া আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধন এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জন্য আমি ৫০টির বেশি কলাম লিখেছি। যখনই কেউ এই আইনে ভিকটিম হয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এ আইনে কার সুরক্ষা করা হবে সেই কথা বলা নেই। অবশ্যই জনগণের মত প্রকাশের সুরক্ষাসহ সব ধরনের সুরক্ষা দরকার। আইনটি সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি এজন্য এর অপব্যবহার হবেই। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যারা জেল খেটেছেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে কারাবরণ করা ভুক্তভোগী দিদারুল ভুইয়া বলেন, আমাকে র্যাব পরিচয়ে গুম করা হয়েছিল। পরদিন আমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আমি পাঁচবার আবেদনের পর জামিন পাই। আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে, জীবনের বিনিময়ে আসিফ নজরুল স্যার, আদিলুর রহমান খানকে সরকারে পাঠালাম। প্রথম থেকে বলছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সব মামলা বাতিল করা হবে। তবে আমাদের মামলা এখনো বাতিল হয়নি।
Advertisement
আলোকচিত্র শিল্পী শহীদুল আলম বলেন, ৫ আগস্ট ২০১৮ সালে আমাকে ৫৭ এর বি ধারায় আটক করা হয়। সেই ৫৭'র বি ধারা চলে গেছে, ডিএসএ চলে গেছে, সিএসও চলে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেই মামলার এখনো চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি। আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী এই কেস টেকে না, খারিজ করে দেওয়ার কথা। এটা নিয়ে আমি রিটও করেছি। আদালত বললেন যে, এই কেসের মেরিট নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আর কি করা যেতে পারতো সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি।
তিনি বলেন, আমাকে যখন বেইল দেওয়া হয়েছে তখন আদালত লিখেছেন, এফআইআর এ তার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ তার কোনো কিছুই আলামতে পাওয়া যায়নি। তারপরও কিন্তু আমার মামলা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক গোলাম ফাহফুজ জোয়ার্দার, মানবাধিকার কর্মীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এনএস/এসআইটি/এমএস
Advertisement