আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের মাইটেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর মাইটেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোম্পানিটির আর্থিক সম্পর্ক থাকাকে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর মাইটেলকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের তালিকায় যুক্ত করে জানিয়েছে, কোম্পানিটি ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নজরদারি সেবা এবং আর্থিক সহায়তা’ দিয়ে আসছে।

মাইটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর কার্যক্রমের মাধ্যমে সামরিক সরকার ‘নিশানাভুক্ত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগুলোকে ট্র্যাকিং ও শনাক্তকরণ মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করতে সক্ষম হচ্ছে।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

মিয়ানমারে বেসামরিক লোকদের হত্যা-নির্যাতন বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী বাংলাদেশে পালানোর সময় মিয়ানমারে ড্রোন হামলায় বহু রোহিঙ্গা নিহত বাংলাদেশ সীমান্তে আবারও রোহিঙ্গাদের ভিড়

তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে মাইটেল কার্যত একটি বাণিজ্য অবরোধের মুখে চলে গেছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্য দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

২০২১ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকার দেশটির টেলিযোগাযোগ সেবায় হস্তক্ষেপ বাড়িয়েছে এবং প্রতিরোধকারী গোষ্ঠীগুলোর ওপর নজরদারি ও দমন অভিযান চালাচ্ছে।

দেশটিতে গত ১ জানুয়ারি একটি সাইবার সিকিউরিটি আইন কার্যকর হয়েছে, যার মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা ও ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার নামে পরিচিত মাইটেল মূলত একটি যৌথ উদ্যোগ। এর অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে জান্তা-সমর্থিত একটি গ্রুপ এবং ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন ভিয়েটেল।

Advertisement

মাইটেল ২০১৮ সালে পূর্ণমাত্রায় কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে দেশটির অন্যতম বৃহৎ মোবাইল সেবা প্রদানকারী হয়ে উঠেছে। তবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মিয়ানমারের কিছু নাগরিক এই অপারেটর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

সূত্র: নিক্কেই এশিয়াকেএএ/