১৭ লাখ ৭২ হাজার ই-পাসপোর্টের কাঁচামাল জাহাজীকরণ প্রক্রিয়াধীন। এগুলো খালাসের জন্য চলতি মাসেই এলসি খোলা হবে। ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায় এগুলো আমদানি করা হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৮ সালের জুন মেয়াদে ৯০৩৮ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পে নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৪৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন
চলতি বছরই ই-পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসৌদিতে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্টচলতি অর্থবছর এ প্রকল্পের এডিপি বরাদ্দ ১ হাজার ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, অবমুক্ত করা অর্থ ৫১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা বরাদ্দ করা অর্থের ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩০ কোটি ৪৮ কোটি টাকা, যা বরাদ্দ করা অর্থের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
Advertisement
এরই মধ্যে মোট ১ কোটি ৪৫ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। এলসি ৬ (৩৫ লাখ ই-পাসোর্ট কাঁচামাল) এর মাধ্যমে এরই মধ্যে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল আমদানি করা সম্পন্ন হয়েছে এবং ৯ লাখ ৬০ হাজার ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল জাহাজীকরণ করা হয়েছে। জানুয়ারি ২০২৫ প্রায় ৮৮ কোটি এবং মে ২০২৫ সময়ে প্রায় ২০৪ কোটি টাকার ঋণপত্র (এলসি) খোলা হবে। তখন প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে।
আরও পড়ুন
তিন দফায় ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১৭০ কোটি টাকাবিদেশে অবস্থিত ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে এরই মধ্যে ৫৩টিতে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ১০২টি দেশের প্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট সেবা পাচ্ছেন। অবশিষ্ট ২৭টি মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, যা ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement