দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় মাসব্যাপী পর্যটনমেলা, হোটেলে মিলছে ছাড়

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী পর্যটনমেলা। নতুন বছর কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বাড়াতে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) ও কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এই মেলা শুরু হয়।

Advertisement

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মেলার উদ্বোধন করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে ট্যুরিজম পার্ক এলাকায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।

মেলায় সার্কাস, পুতুল নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জাদু প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধরনের মনোমুগ্ধকর ইভেন্টের আয়োজন রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পণ্যের ৪০টি স্টল থাকবে।

টোয়াক ও কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন।

Advertisement

এছাড়া ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা সেনাক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাবাব আহমেদ শিবলী (আর্টিলারি), কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক মো. কৌশিক আহমেদ, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আ. আজিজ মুসুল্লি, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, এ পর্যটনমেলা চলবে মাসব্যাপী। মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রীর পসরা নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। এছাড়া মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন ঘিরে পর্যটকদের বাড়তি সাড়া মিলছে। মূলত কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য সন্ধ্যার পরে সময় কাটানোর স্থান খুবই কম সেই সংকট কাটাতে এই উদ্যোগ।

টোয়াকের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটকদের সেবা দেওয়া সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় হয়েছে। মেলা চলাকালীন হোটেলগুলোতে মিলবে বাড়তি ছাড়। এরই মধ্যে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তা খানাখন্দ থাকলেও তা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভালো হয়েছে। এখন পর্যটকদের যাতায়াতে আর কোনো সমস্যা থাকলো না।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, কুয়াকাটা পর্যটনমেলা কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো একমাসের এই আয়োজন কেন্দ্র করে ট্যুরিস্ট পুলিশ, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ জেলা-উপজেলা প্রশাসন, গোয়েন্দাসহ বেশ কয়েকটি টিম কাজ করবে নিরাপত্তায়। এছাড়া পর্যটকদের সুস্থ ও বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করতেই আমাদের এই আয়োজন।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেডএইচ/জেআইএম