সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সোয়াচ অফ নো-গ্রাউন্ড মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়ার (SONG-MPA) সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে ডলফিন, তিমি, হাঙর, শাপলাপাতা মাছ, ও সামুদ্রিক কাছিমসহ বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী এবং তাদের বাসস্থান রক্ষা করা হবে।
Advertisement
বুধবার (৮ জানুয়ারি) পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, এ পরিকল্পনা টেকসই মৎস্য আহরণ, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা রক্ষা এবং সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক হবে। পরিকল্পনায় মৎস্য আহরণ, জাহাজ চলাচল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যটন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনায় তিনটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে—মাছের প্রজনন ও পোনা লালন-পালনের এলাকা, সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা এবং টেকসই মৎস্য আহরণ এলাকা। সংরক্ষিত এলাকার পরিধি ১,৭৩৮ বর্গকিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬,৮৬৬ বর্গকিলোমিটার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Advertisement
সভায় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব (বন) শামীমা বেগম এবং উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রণীত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড কনজারভেশান সোসাইটির সিনিয়র অ্যাডভাইজর ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এ উদ্যোগটি বিভিন্ন সংস্থা ও উপকূলীয় জনগণের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। এটি সামুদ্রিক সম্পদের সুষম ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণের ভারসাম্য নিশ্চিত করবে।
আরএএস/এমকেআর/জিকেএস
Advertisement