রাশিয়ার এঙ্গেলস শহরে সামরিক বিমানঘাঁটির তেলের ডিপোয় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে দুই দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) উভয় পক্ষই একে অপরের বিদ্যুৎ ও সামরিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত জায়গায় হামলার দাবি করেছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়াতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
Advertisement
রাশিয়ার তেলের ডিপোয় হামলা প্রসঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এঙ্গেলসে রাশিয়ার তেলের ডিপোয় আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। হামলার ফলে তেলের ডিপোটি ধ্বংস হয়ে গেছে, যা রুশ বিমানবাহিনীর জন্য বিপজ্জনক। তারা ওই জায়গা থেকে আর আগের মতো ইউক্রেনের শহর ও আবাসিক এলাকাগুলাতে হামলা চালাতে পারবে না।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা ওলেকজান্দার কামিশিন জানিয়েছেন, হামলা করা হয়েছে ইউক্রেনে তৈরি দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
মস্কো এই আক্রমণের কথা স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, সারারাত ধরে তারা ইউক্রেনের ৩২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, এঙ্গেলসে হামলার পর বড় ধরনের আগুন লাগে। শহরের বাসিন্দারা সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
আঞ্চলিক গভর্নর রোমান বুসারগিন জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট কর্মী ও সরঞ্জাম রয়েছে। তিনি জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে দুই দমকলকর্মী মারা গেছেন এবং শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ৬৩টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। খেরসনে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
Advertisement
কিয়েভ আরও জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ ঝাপোরিঝিয়াতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বেসামরিক মানুষ রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এবং তাদের চারপাশে ধ্বংসস্তূপ।
এর কয়েক মিনিট আগে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করেছিলেন আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেডোরভ।
সূত্র: ডয়েচে ভেলেকেএএ/