দেশজুড়ে

‘ছাত্রদল কর্মী শরীফের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ, তার বিচার চাই’

টাঙ্গাইলে শরীফ নামের এক বহিষ্কৃত ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, অসদাচরণ, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শরীফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

Advertisement

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, বিবাহিত নারীকে বিয়ের জন্য চাপ, নিজের গায়ে মুরগির রক্ত মেখে মামলা দিয়ে হয়রানি, শিক্ষককে গালিগালাজ, মারধর করাসহ নানা অপকর্ম করছেন শরীফ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নাগরপুর উপজেলার আলোকদিয়া বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে শরীফের বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলম হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, আব্দুস ছামাদ, গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তার, মানিক মোল্লা, আক্কেল আলী, মসজিদের ইমাম আমিনুর রহমান বোরহান, মান্নান প্রমুখ।

Advertisement

গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছেন শরীফ। রাজি না হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে দফায় দফায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমি তার বিচার দাবি করছি।

নির্যাতিত আক্কেল আলী বলেন, গত বুধবার স্কুলের আলিম স্যারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন শরীফ। প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে মারধর করেন। এ কারণে গ্রামের লোকজন তাকে ধাওয়া দেয়। পরে পালিয়ে গিয়ে শরীরে মুরগির রক্ত মেখে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেন শরীফ। তিনি ছাত্রদলের কর্মী আর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হবির শিষ্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এমন কি থানাও তার বিরুদ্ধে মামলা নেয় না। এখন তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমরা শরীফের শাস্তি দাবি করছি।

আলোকদিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, শরীফ কথায় কথায় মানুষকে মারধর আর মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। আমরা তার বিচার দাবি করছি। তার মতো কর্মীর জন্য দলের সমর্থন কমছে। এ ধরনের কর্মীকে মদদ দেওয়া কোনো নেতার ঠিক নয়।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শরীফ বলেন, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার তথ্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি সাবেক ছাত্রনেতা। আমার ইমেজ নষ্ট করতে এই ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।

Advertisement

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হবিবুর রহমান হবি বলেন, শরীফ আমার কর্মী নয়। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

আরিফ উর রহমান টগর/জেডএইচ/জিকেএস