জাতীয়

কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: স্ত্রী-সন্তানসহ আসামি মতিউর

অবৈধ সম্পদের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা এবং ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

সোমবার (৬ জানুয়ারি) তাদের নামে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পৃথক মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণী জারি করতে বলা হয়েছিল। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

প্রথম মামলায় আসামি হয়েছেন লায়লা কনিজ ও মতিউর রহমান। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন মতিউর ও তার পরিবারের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ 

দ্বিতীয় মামলায় বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আসামি হয়েছেন ফারজানা রহমান ইপ্সিতা। তার বিরুদ্ধে ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আর তৃতীয় মামলার বাবার সঙ্গে আসামি হয়েছেন তৌফিকুর রহমান অর্ণব। তার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৩ টাকা সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের কোরবানি ঈদের সময় ‘ছাগলকাণ্ডের’ ঘটনায় আলোচনায় আসেন একাদশ বিসিএসের (শুল্ক ও আবগারি) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এরপর তাকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও। সংবাদমাধ্যমে একের পর এক মতিউর, তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের খবর আসার মধ্যে দুদক তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মতিউর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement