দেশজুড়ে

সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল

বড়দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে যেন পর্যটকদের ঢল নেমেছে। এ ছুটি উপলক্ষে গত কয়েকদিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে সুন্দরবনে। বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারসহ ছুটে আসছেন পর্যটকরা। বড়দিনের ছুটির একদিন পর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় পর্যটক বেড়েছে।

Advertisement

সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, দেশের যে কোনো জায়গা থেকে মোংলায় আসার পর মোংলা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র করমজল। সেখানেই ভিড় বেশি। এছাড়া বনের হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী ও আন্ধারমানিকসহ অন্যান্য স্পটেও ঢল নেমেছে পর্যটকদের।

সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসায়ী দ্য সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন অনেক বেড়েছে। একদিকে বড়দিনের ছুটি অপরদিকে সপ্তাহের দুদিনের ছুটি উপভোগ করছেন ভ্রমণপ্রিয়রা। পর্যটকের চাপ বাড়ায় আমার নিজের লঞ্চসহ খুলনার ভাড়া লঞ্চে প্যাকেজ ট্রিপে পাঠাতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।

শীতকালই মূলত পর্যটন মৌসুম। এ মৌসুমে কমবেশি দর্শনার্থীদের চাপ থাকে। তবে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক দুদিনের ছুটিতে ব্যাপক মানুষের আগমন ঘটেছে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, সবাই মিলে তাদের সেবা দিতে আমরা ট্যুর ব্যবসায়ীরা সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে সবাই ভালো ও সমান সেবা পেতে পারেন।

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, শুক্রবার করমজলে পর্যটক এসেছেন প্রায় চার হাজার। বৃহস্পতিবার তিন হাজার, বুধবার আড়াই হাজার ও মঙ্গলবার দেড় হাজার পর্যটক আসে।

তিনি আরও বলেন, মোংলা থেকে নদীপথে সর্ব প্রথম ও সবচেয়ে কাছাকাছি এবং দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র হলো এই করমজল। এখানে মূলত সারা বছরই কমবেশি পর্যটক আসেন। তবে বড়দিন উপলক্ষে এবার অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে, যা বিগত কোনো সময় এত ভিড় দেখা যায়নি।

আবু হোসাইন সুমন/এসআর/এএসএম

Advertisement