আগে বেশ কিছু কাজ করলেও ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতের জাতীয় ক্রাশে পরিণত হন তৃপ্তি দিমরি। আকর্ষণীয় ফিগার, টানা টানা চোখ, রহস্য ছড়ানো মায়াবী হাসির এই নায়িকা মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন বলিউডপ্রেমীদের। এই বছর তিনি তিনটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
Advertisement
সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ফেমিনার। সেখানে তিনি কথা বলেছেন তার ফ্যাশন ও স্টাইল নিয়ে। জবাব দিয়েছেন পাঁচটি প্রশ্নের।
ফ্যাশন আপনার জীবনে কীভাবে গুরুত্ব বহন করে এবং কখন আপনি প্রথম নিজেকে একজন ফ্যাশনপ্রিয় হিসেবে খুঁজে পেয়েছিলেন?ফ্যাশন সবসময়ই ছিল আমার আত্মপ্রকাশের এক মাধ্যম। কিশোর বয়সেই আমি নিজেকে ফ্যাশন সচেতন হিসেবে অনুভব করি। তখন আমি এমন কিছু স্টাইল নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করলাম যা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতো। তখনই আমি ফ্যাশনের প্রতি আমার ভালোবাসা আবিষ্কার করি।
আপনার ব্যক্তিগত স্টাইল কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন?আমার স্টাইল হলো মার্জিত। আরামকে প্রাধান্য দেই আমি। সিনেমাতে কাজ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্টাইলের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। এটি আমার ব্যক্তিগত স্টাইলকে আরও পরিমার্জিত করতে সাহায্য করেছে বলে মনে করি আমি। ফ্যাশনের গল্প বলার শক্তি সম্পর্কেও গভীর ধারণা তৈরি হয়েছে সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে।
Advertisement
আমার প্রথম কেনা ফ্যাশন অনুষঙ্গটি ছিল একটি ক্লাসিক কালো ব্লেজার। সেটি এমন একটি পোশাক যা আমি অনেক বছর ধরে পরতে পারছি। আমার কাছে এটি ছিল আমার ক্যারিয়ারের শুরুর একটি প্রতীক।
আপনার পোশাকের শোকেসে এমন কোন ফ্যাশন আইটেম আছে যা আপনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে?আমার দাদির কাছ থেকে পাওয়া একটি ভিনটেজ সিল্ক স্কার্ফ রয়েছে। এটি আমার কাছে বিশেষ মানে ও গুরুত্ব বহন করে। যখনই আমি এটি দেখি বা স্পর্শ করি তখনই আমি আমার শেকড়ের সুবাস পাই। এটা আসলে অন্যরকম একটা অনুভূতি।
কোনো পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে?পোশাকটিতে আরাম কেমন হবে সেটা সবার আগে ভাবি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেটি ব্যবহার করতে পারব কি না তাও মাথায় রাখি। আমি অবশ্যই মানসম্পন্ন পোশাক কিনি যেন সেগুলো দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি আমি সচেতনভাবে ট্রেন্ডি ফ্যাশন থেকে দূরে থাকি।
এলআইএ/জিকেএস
Advertisement