প্রক্রিয়াজাতকৃত হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি বাণিজ্যে রপ্তানি বিলের বিপরীতে প্রত্যাবাসিত ডলারের মূল্য ১১৮ দশমিক ৯০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১২৫ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)।
Advertisement
এই দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সংগঠনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি আবেদন করেছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক ঋণের অতিরিক্ত সুদ, উচ্চ হারে বিদ্যুৎ বিল, প্যাকেজিং ও আনুষঙ্গিক খরচ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চিৎড়ি ও মাছ রপ্তানি বাণিজ্য কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রত্যাবাসিত ডলার নগদায়নের হার বাড়লে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যে টিকে থাকতে পারবে এবং রপ্তানি আয় অর্থাৎ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ডলারের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য স্থিতিশীল হবে।
আরও পড়ুন ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে পারবে না ব্যাংক মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ পাবেন ৮০০ চাষিবিএফএফইএ জানায়, দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রপ্তানি খাতটি স্বাধীনতা উত্তর বিগত ৫৪ বছর যাবৎ নানাবিধ সংকট সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় ৫৫টি দেশে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
Advertisement
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এখন ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকদের রপ্তানি বিলের বিপরীতে প্রত্যাবাসিত ডলারের মূল্য দীর্ঘদিন ধরে ১১৮ দশমিক ৯০ টাকা হারে প্রদান করে। বর্তমান বাজারে প্রতি ডলারের মূল্য ১২৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে এবং ব্যাংকগুলোও রপ্তানিকারকদের নিকট হতে ১১৮ দশমিক ৯০ টাকা মূল্যে ক্রয় করে আমদানি বিলের বিপরীতে ১২৭ টাকা মূল্যে বিক্রয় করছে। এদিকে ব্যাংকগুলো লাভবান হলেও রপ্তানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার লক্ষ্যে রপ্তানিকারকদের রপ্তানি বিলের বিপরীতে প্রত্যাবাসিত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে ১২৫ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এনএইচ/ইএ/এএসএম
Advertisement