জাতীয়

বিআরটিএ ভবন মেরামত ও আসবাবপত্র কিনতে প্রয়োজন ২৫ কোটি টাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনটি মেরামত ও আসবাবপত্র কিনতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

Advertisement

বিআরটিএ জানিয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় সংকোচন করা সম্ভব নয়। বরং ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক আসবাবপত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির মতামত অনুযায়ী, ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক আসবাপত্র, কম্পিউটার কিনতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে ভবন মেরামত ও প্রয়োজীয় আসবাবপত্র কেনার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন জাগো নিউজকে বলেন, আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে বিআরটিএ ভবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে আমরা ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে রেভিনিউ বাজেট থেকে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছি। এই বরাদ্দ গণপূর্তকে দিতে বলেছি। কারণ, ভবনটি গণপূর্তের। গণপূর্ত অধিদপ্তরই ভবন মেরামত করে দেবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

এক মাস পর চালু হলো বিআরটিএ’র ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভার

ভবনটিতে আগুন দেওয়ার পরপরই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে যে প্রকল্প চলছে, সেখানে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বলে তখন জানানো হয়।

এদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) জানিয়েছে, সব গণপরিবহনে একটি কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া আদায়, টোল ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এবং অন্যসব মূল্য/ফি পরিশোধ সংক্রান্ত সেবাসমূহ সহজতর ও দ্রুততর করার লক্ষ্যে ডিটিসিএর ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্ড প্রবর্তন ও বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় তিন লাখ র‌্যাপিড পাস কার্ড কেনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘ওয়ান কার্ড ফর অল’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি মেট্রোরেল প্রবর্তিত এমআরটি পাস কার্ড বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় র‌্যাপিড পাস কার্ডের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থসংস্থানের মাধ্যমে জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে ছয় লাখ র‌্যাপিড পাস কার্ড কেনা প্রয়োজন। এই কার্ড কিনতে ১৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। ফলে ডিটিসিএর সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন ১২ কোটি ৭ লাখ টাকা।

Advertisement

এমওএস/এমকেআর/জেআইএম