সম্প্রতি চিঠি চর্চায় এসেছে একটি অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যাপটিতে চিঠি আপনি নোটপ্যাডে লিখলেও তা পুরোনো দিনের কাগজ ও হাতে বল পয়েন্ট লেখার ফন্টে চলে আসবে। এখানে বাদামি খামের পুরোনো গন্ধ না থাকলেও আবেগের কমতি নেই। অল্প কয়েকদিনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে চিঠি ডটমি নামের একটি গুগল প্লে অ্যাপ্লিকেশন। যেখানে প্রিয়জনকে চিঠি লেখা যাবে নিজের নাম, পরিচয় গোপন রেখে।
Advertisement
চিঠি ডটমি নামে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশের অল্পদিনেই রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজারবার অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি চিঠি প্রকাশ বা পাঠানো হয়েছে অ্যাপটির মাধ্যমে।
অন্যান্য অ্যাপের থেকে এই অ্যাপের বিশেষত্ব হলো, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরানো দিনের মতো কাগজে, হাতে লেখা অক্ষরের মতোই নোটপ্যাডের মাধ্যমে আপনি চিঠি লিখতে পারবেন। চিঠির কাগজ ও হাতের লেখার বিভিন্ন ডিজাইন অ্যাপটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
আরও পড়ুন বৃষ্টির সময় টিভি চালালে যেসব ভুল করবেন নাতবে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই অ্যাপ ব্যবহার নিরাপদ নয়। কারণ এতে ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় না। বরং ব্যবহারকারীদের সার্চ হিস্ট্রিও চলে যেতে পারে অন্যের হাতে। এই অ্যাপ থেকে আপনার যাবতীয় গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
Advertisement
অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় শর্তে লেখা, গ্রাহকদের কিছু তথ্য তারা রাখবে। আবার এটাও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও তারা নিতে পারে। এদিকে অ্যাপ যে সুরক্ষিত সে কথাও বলা হয়নি। শর্তের মধ্যে স্পষ্টতই বলা রয়েছে, তথ্য যে সুরক্ষিত সেটা নিশ্চিত নয়। আপনার সার্চ হিস্ট্রিও চলে যেতে পারে অন্যের কাছে।
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, মোবাইলের ইউনিক আইডিসহ বেশ কিছু তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীর সার্চ হিস্ট্রিও অ্যাক্সেস করতে পারে এই অ্য়াপ।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অ্যাপে একটি অফিশিয়াল মেইল আইডি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে chihi.me.app@gamil.com। সাধারণত কোনো স্থায়ী সংস্থার বা অ্যাপের নিজেদের ডোমেন মেইল আইডি থাকে। অথচ এটি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালিত। এই ধরনের আইডি খুলতে পারেন যে কেউ, যে কোনো জায়গা থেকে। আর এমন মেইল আইডি ব্যবহার করে বড় ধরনের অপরাধ কেউ করলে তাকে খুঁজে বের করা বেশ কঠিন।
তাই যে কোনো অ্যাপ ব্যবহারের আগেই সতর্ক হোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেই সেখানে সামিল হবেন, তেমনটা নয়। আপনার ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকিশন ব্যবহার করুন। যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করার আগে ভালোভাবে দেখে নিন।
Advertisement
সূত্র: নিউজ ১৮
কেএসকে/জিকেএস